রাজশাহী শহরে বসবাস প্রায় দুই দশক আগে শুরু করেছিলাম কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় সেটা ছিল ২০০৬ সাল!
তখন তো মোগলাই পরোটার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে আর বিদ্যুৎ হোটেলের নান-গ্রিল, হালিম আর চা ছিল আমাদের সার্কেলে (হতে পারে তখনের রাজশাহীতে সেরা) সেই লেভেলের খাওয়া-দাওয়া!
আর আমি মনে করতাম চাইনিজ মানে তো অফিসাররা খেতে যাবে ১-২ টা পারিবারিক অফার পেলেও খেতে পারবো না ধরে নিয়ে কখনো যাওয়া হয় নি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক, তাই রাজশাহী, সিলেট, ঢাকাসহ যেসকল শহরে আমি থেকেছি চলাচলের আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার বাদে পুরো শহর নিয়ে তেমন কোন ধারনা পাই না!
২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত যখন আমি রাজশাহীতে ছিলাম তখন নানকিং আর সাফা ওয়াং নামক ২টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ভালই জনপ্রিয় ছিল। আসলে তখন শহরে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট বলতে এই দুইটায় ছিল।
নানকিং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রাজশাহী শহরে প্রথম চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।
২০১২/১৩ এর পূর্ব পর্যন্ত রাজশাহী শহরে হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল এবং খুব বেশি অফিসিয়াল বা উচ্চ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত ছাড়া তেমন একটা মানুষ খেত না।
২০১৫ এর পরবর্তি সময়ে আসলে রেস্টুরেন্ট সেক্টরে ব্যাপক পরিবির্তন আসে এবং কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বাজেট ফেন্ডলি বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠে।
বর্তমানে রেস্টুরেন্ট বলতে চাইনিজ / থাই ছাড়া চিন্তা করাও দুষ্কর!